সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২

ঘরে ঘরে RO ইনস্টল জল সমস্যার সমাধানে কার্যকরী নয়

 ঘরে ঘরে RO ইনস্টল জল সমস্যার সমাধানে কার্যকরী নয়

Installing RO at home is not effective in solving water problems

20 Liter Jar widely used for rural RO water


উ.নি.ডে; বোতলজাত পানীয় জলের ব্যবহার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হওয়া ভারতের মতো একটি দেশের জন্য বেশ বিতর্কিত। গ্রামাঞ্চলেও এখন RO ওয়াটার পিউরিফায়ার অনেক ঘরেই ঢুকে গেছে। যারা ১৫-২০ হাজার টাকায় সেটা ব্যবস্থা করতে পারছেন না আর্থিক অবস্থার কারণে তারাও ২০ লিটারের জলের জার কিনছেন ৩০-৪৫ টাকায়। যেসব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে এসব জল বিক্রি হচ্ছে সেগুলোও অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অনুমোদনহীন। অথচ ভারতে 37.7 মিলিয়ন মানুষ জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়, যার খরচ প্রায় 4,500 কোটি টাকা। সেজন্যই মধ্যম ও উচ্চ আয়ের পরিবারগুলি বহনযোগ্য পানীয় জল গ্রহণ করে এবং নিরাপদ পানীয় জলের জন্য RO পিউরিফায়ার ইনস্টল করে। RO প্রযুক্তি দাবি করে যে এটি আয়ন, জৈব, ব্যাকটেরিয়া এবং পাইরোজেনের মাধ্যমে জলের দূষণ দূর করে এবং নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ করে। RO বা বোতলজাত জলকে পরিচিত 'মিনারেল ওয়াটার' বলা হয়।  কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে RO মেমব্রেন পানি থেকে প্রায় সব খনিজ উপাদান সরিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে RO জল খাওয়ার ফলে স্নায়বিক, কার্ডিও, গ্যাস্ট্রিক এবং অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে।  সুতরাং, এটি স্পষ্ট যে তথাকথিত 'মিনারেল ওয়াটার' খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল রিপোর্ট করেছে যে RO-তে জড়িত প্রক্রিয়া 200 শতাংশ জল নষ্ট করে।  আরও থেকে এক লিটার জল পেতে দুই লিটার জল অপচয় হয়। সুষ্ঠু জল ব্যবস্থাপনার অভাব বিভিন্ন পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক সমস্যার দিকে পরিচালিত করেছে। RO কোন প্রকৃত সমস্যার সমাধান নয় বরং কার্যকর জল ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণ সমস্যার সমাধান করতে পারে।

বাংলায় জাপানি হাইকু


বাংলায় জাপানি হাইকু নিয়ে এ মাসের উস্ওয়া এক্সপ্রেস অক্টোবর মাসান্তিকে লিখেছেন-

সেখ মইদুল আলি
নিলুফা খাতুন
ওয়াসিকুল আলম
সেখ কামারুল ইসলাম
মাফুজা খাতুন







 

সিদ্ধ তান্ত্রিক হওয়ার লোভে ৭বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে বলি দিয়ে হরিয়ানার যুবক ধরা পড়লো হাওড়ায়

 সিদ্ধ তান্ত্রিক হওয়ার লোভে ৭বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে বলি দিয়ে হরিয়ানার যুবক ধরা পড়লো হাওড়ায়

Haryana youth arrested for raping and sacrificing a 7-year-old child to become a Siddha Tantric


উ.নি.ডে; শিশু বলি দিলে তন্ত্র সাধনার সফল হওয়া যাবে এমন কথায় বিশ্বাস করে ৭ বছরের শিশুকে অপহরণ করার পর ধর্ষণ করে দীপাবলির রাতে বলি দেয় হরিয়ানার পানিপথের শিবকুমার নামে ঐ যুবক। এরপর কলকাতাগামী কালকা মেলে ওঠে। হরিয়ানা‌ পুলিশ সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে হাওড়া জিআরপি। পরে তাকে পানিপথ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Editorial on 31.10.2022

 সম্পাদকীয়

Editorial on 31.10.2022


যে পৃথিবীতে তৃষ্ণার্ত শিশু ইসমাইলের পায়ের আঘাতে সুপেয় জলের প্রবাহ বহে সেই পৃথিবীতেই কয়েক হাজার বছরে অবস্থা এতটাই সঙ্গীন হয়ে উঠেছে যে, এ যুগের বিজ্ঞানীরা কঠিন জল সংকটের মোকাবেলা করার জন্য জনগন ও বিশ্বনেতাদের ভয়ংকর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। এমনকি আগামী কুড়ি-তিরিশ বছরে আমাদের দেশ ভারতে পানযোগ্য জল শূণ্য হয়ে যেতে পারে সে সর্তকবাণীও দিয়ে রেখেছেন। আগামীদিনের জলসংকটের এই সর্তকবার্তায় না কর্ণপাত করছেন এদেশের নেতারা, না করছেন এদেশের সর্বেসর্বা জনগন। স্বার্থান্বেষী দেশনায়কেরা যেমন নিজেদের আখের-গদী গোছাতে ব্যস্ত তেমনি জনগনও আগামী ভয়াবহ দিন সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন থেকে স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। ভয় হয় আগামী প্রজন্মকে আমরা যেন জল-শূণ্য, অ-বসবাসযোগ্য একটা জরাজীর্ণ গ্রহ না গছিয়ে দিয়ে যাই।

হুগলিতে বৃক্ষ হাসপাতালের উদ্যোগ

 হুগলিতে বৃক্ষ হাসপাতালের উদ্যোগ

Tree Hospital initiative in Hooghly


Tree Hospital initiative in Hooghly reported by Mafuja Khatun


মাফুজা খাতুন, সাঁতরাগাছি; বিখ্যাত উদ্ভিদ বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু দেখিয়েছেন যে গাছপালাও অন্যান্য জীবনের মতো। তাই তাদেরও সেবা শুশ্রূষা দরকার। অনেকেই গাছ ভালবেসে লাগান, কিন্তু কি ভাবে তার যত্ন নিতে হয় তা বেশিরভাগই জানেন না। গাছেরও শিশুদের মতো চিকিৎসা করা দরকার হয়। তাদের পুষ্টি, শরীর স্বাস্থ্য র দিকে খেয়াল রাখতে হয়। যারা বাড়ি, বাসস্থানে গাছ লাগান তারা গাছের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানান সমস্যায় পড়েন। গাছের পাতার রোগ, ছত্রাক রোগ, কাণ্ড বা শাখার বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা যায়।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু রোগের সময়মতো প্রতিকার না করে গাছ তুলে ফেলে দেওয়া হয় অথবা গাছটি মারা যায়। কিন্তু মানবদেহের মতো গাছের রোগগুলি পেশাদার আর্বোরিস্টদের বা গাছের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিরাময় করা যায়। তবে গাছের চিকিৎসা পরিষেবা সহজে পেতে সমস্যা দেখা যায়। সেই সমস্যা মেটাতে একটি অনন্য উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এলো পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বলাগড় বিজয় কৃষ্ণ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা একটি ‘বৃক্ষ হাসপাতাল’ চালু করেছেন। এখানে বেশ কিছু আর্বোরিস্ট থাকবে, পরামর্শমূলক পরিষেবাও দেবে, যাতে গাছ বা গাছের মালিকরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে নিরাময় পরিষেবা সরবরাহ করবেন।

এতে বিশেষ করে নার্সারি মালিকেরা উপকৃত হবেন। এই উদ্যোগ গাছ মালিকদের সচেতনতা সৃষ্টিতে যথেষ্ট সাহায্য করবে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সমূহ এবং সরকারের তরফে সহযোগিতা পেলে এ রকম আরো উদ্যোগ দেখা যেতে পারে।

বাগনানের হাটুড়িয়া দক্ষিণ পাড়ায় নবী দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

 বাগনানের হাটুড়িয়া দক্ষিণ পাড়ায় নবী দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

Cultural programs on the occasion of Milad-un-Nabi at Bagnan Haturia Dakshinpara

Editor-In-Chief Sk Kamarul Islam Attended Cultural Program at Haturia Dakshinpara, Howrah


সেখ মইদুল আলি, বাগনান; গতকাল রবিবার বাগনানের হাটুড়িয়ায় দক্ষিণ পাড়া উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বনবী দিবস উপলক্ষ্যে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অন্নদান কর্মসূচি। স্থানীয় মসজিদের নতুন ভবনের উদ্বোধনও হলো এদিন। শনিবার হাটুড়িয়া ১নং পঞ্চায়েতের তরফে ডেঙ্গুসহ ভেক্টর বর্ণ ডিজিজ প্রতিরোধে এলাকায় পরিবেশ পরিছন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ পাড়া উন্নয়ন কমিটির প্রেসিডেন্ট সেখ মোয়ীনূল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আশিক বেগ, সাহিত্যিক সেখ কামারুল ইসলাম, মসজিদের ইমাম রেজাউল খান, বিশিষ্ট মোটিভেশনাল স্পীকার মাওলানা আবু জাফর, বিশিষ্ট কবি সেখ মইদুল আলি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উস্ওয়া-র জেনারেল সেক্রেটারি বিশিষ্ট সমাজসেবী মুসারফ গাজী প্রমূখ। সকাল দশটায় অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রেসিডেন্ট সেখ মোয়ীনূল ইসলাম। সারাদিনের নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ(সঃ) জীবন-আদর্শ আলোচনা ও প্রার্থনার মাধ্যমে রাতে এদিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়।

শেষ বিদায় কবি নাসিম এ আলম

 শেষ বিদায় কবি নাসিম এ আলম

Last Farewell Poet Nasim A Alam

Poet Nasim A Alam


সেখ মইদুল আলি, বাগনান; গত সোমবার রাত সাড়ে নয়টার সময় চিরতরে বিদায় নিলেন বাংলার সাহিত্য জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র কবি ও প্রাবন্ধিক নাসিম এ আলম। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দুই বাংলার সাহিত্য জগত। দুই বাংলার নানান অগ্রনী পত্র পত্রিকায় তাঁর লেখা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রকাশ পেয়ে এসেছে।

নব্বইয়ের সবচেয়ে অগ্রগণ্য কবিদের অন্যতম ছিলেন নাসিম এ আলম। আইরিশ কলোনীতে সন্ধ্যা, দ্রোহকাল, ময়ূর ক্লান্ত মানে বর্ষা শেষ হল, লিটল ম্যাগাজিন ও অন্যান্য কবিতা, ধুলোর নির্জনে লেখা ইত্যাদিসহ তার শেষ কাব্যগ্রন্থ বাসমতী ধানের অগ্রহায়ণ ও ঝুমকোলতা। তার প্রবন্ধ সংকলন ছিল ‘স্বাধীনতা পরবর্তী পশ্চিমবাংলার মুসলমান সমাজ ও সাহিত্য’৷ তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দুই বাংলার প্রখ্যাত সাহিত্যিকেরা। কবি ও সম্পাদক সেখ কামারুল ইসলাম বলেন, "গত পয়লা অক্টোবর কবির সাহিত্য সাথী এ যুগের আরেক অগ্রণী কবি তৈমুর খান সূত্রে জানতে পারি মৃত্যু শয্যায় 'কবি নাসিম এ আলমের চোখে দিনান্তের শেষ সূর্য'। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছিল তখনই। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো, নবীন কবিরা অনেকেই তাদের একজন অভিভাবক হারালো" । ক্যান্সারে ভুগছিলেন বেশ কিছুদিন। শেষ পর্যন্ত ২৪শে অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বীরভূমের কীর্নাহারের নিমড়া গ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়।

২৮শে নভেম্বর ২০২২ তৃতীয় বর্ষ ১৮তম সংখ্যা