আন্তর্জাতিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আন্তর্জাতিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

 ইতালির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন কট্টরপন্থী জর্জিয়া

মাফুজা খাতুন, কলকাতা; ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত শনিবার সকালে শপথ নিলেন ৪৫ বছর বয়সী কট্টর ডানপন্থী নেত্রী জর্জিয়া মেলোনি। গত মাসের নির্বাচনে জয়ী হয় তার নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ জোট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ইতালির ইতিহাসে সবচেয়ে কট্টরপন্থী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন জার্জিয়া। ন্যাশনালিস্ট ব্রাদার্স অফ ইতালি-র নেত্রী নিজেকে ন্যাটো ও ইইউ পন্থী হিসেবে দাবি করে থাকেন। জোটের সব দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত নতুন মন্ত্রিসভার একটি তালিকা তিনি প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেন গত শুক্রবার। জোট পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হবে শ্রীঘ্রই।

 চীনা নারীরা স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় উভয় স্তরেই রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে বাদ পড়েছেন



উ.নি.ডে; সাত দশকের অস্থিরতা ও নানা পরিবর্তনের মধ্যেও চীনের নেতৃত্বের যে বিষয়টি আজো অপরিবর্তিত রয়েছে সেটা হল সব পুরুষ নিয়ন্ত্রিত রাজনীতি। কমিউনিস্ট পার্টি ৭০ বছর ধরে চীনকে পরিচালনা করেছে, এবং সেই সময়ের মধ্যে কোন মহিলা কখনও চীনের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হননি, দেশটির পরিচালনাকারী গ্রুপে বা পার্টির নেতৃত্বে মহিলাদের উপস্থিতি নগন্য। কোন মহিলা রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হননি। 

গত ২৩শে অক্টোবর শি-র অধীনে, সিসিপি আরো একধাপ পিছিয়েছে, ক্ষমতার পরবর্তী স্তর থেকেও নারীদের বাদ দিয়েছে। বর্তমানে ২৪-সদস্যের পলিটব্যুরো থেকে নারীর নাম নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।  বেইজিং-এ ২০তম কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের সমাপ্তির পর যেদিন শি আনুষ্ঠানিকভাবে তার শাসনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়িয়েছিলেন সেই দিনই নতুন সমস্ত পুরুষ লাইন আপ প্রকাশিত হয়েছিল।

চীনের পিতৃতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামো নারীদের ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতাকে সীমিত করে দিয়েছে। চিনের নেতৃত্বে, শাসনতন্ত্রে মহিলা না থাকায় অথবা নগন্য থাকায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় চিনে মহিলাদের সমস্যা উপেক্ষিত রয়ে গেছে।

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

১৪ই অক্টোবর বিশ্বজুড়ে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের আহ্বান

 ১৪ই অক্টোবর বিশ্বজুড়ে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের আহ্বান

E-waste Material


উ.নি.ডে. ১৪ই অক্টোবর বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক ই-বর্জ্য দিবসের এই বছরের মূল ফোকাস ছিল- "পুনর্ব্যবহার করো পুরোটাই, হোক না তা সে ছোট্ট যতই"! সেইসব ছোট বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলি যা আমরা আর ব্যবহার করি না কিন্তু ড্রয়ারে এবং আলমারিতে রাখি বা প্রায়ই সাধারণ বর্জ্য বিনে ফেলে দিই। জীবন শেষ হওয়া ছোট বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বর্তমান সভ্যতাকে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জে দাঁড় করিয়েছে। জাতিসংঘ অনুমান করছে যে, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী ২৪.৫ মিলিয়ন টন ছোট ই-বর্জ্য তৈরি হয়েছে।  এটি বিশ্বব্যাপী উদ্ভূত মোট ই-বর্জ্য ৫৭ মিলিয়ন টনের ৪০%।  যদি এই ছোট আইটেমগুলির পরিমাণ মোট ই-বর্জ্যের বর্তমান বার্ষিক প্রায় ৩%-র মতো সমান হারে বাড়তে থাকে তবে তা ২০৩০ সালের মধ্যে ২৯ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে। ছোট আকারের কারণে সেল ফোন, বৈদ্যুতিক টুথব্রাশ, টোস্টার এবং ক্যামেরা ইত্যাদির মতো আইটেমগুলি প্রায়শই ভুলভাবে ফেলে দেওয়া হয় এবং এগুলি বর্জ্য পাত্রে ফেলে দেওয়া সমস্ত ই-বর্জ্যের ৮% এর একটি উল্লেখযোগ্য অনুপাত তৈরি করে। যা দিয়ে পরবর্তীতে জমিভরাট করা হয় বা সেগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা। অর্থাৎ তাদের মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল বের করা যায় না এবং সেগুলো হারিয়ে যায়।  ইউরোপে, প্রতি বছর প্রতি বাসিন্দা ১.৪ কেজি পর্যন্ত ই-বর্জ্য সাধারণ বর্জ্য বিনে শেষ হয়। উপরন্তু, ছোট সরঞ্জামগুলি সহজেই ড্রয়ার, আলমারি, গ্যারেজ, বেসমেন্ট এবং তাকের উপর ফেলে রাখা হয় এবং পরে ভুলে যায়।  একটি গড় ইউরোপীয় পরিবারে, বর্তমানে জনপ্রতি ৫ কেজি পর্যন্ত ই-ডিভাইস মজুত করা হয়।


আবার বিতর্কের কেন্দ্রে কোহিনুর


 আবার বিতর্কের কেন্দ্রে কোহিনুর


উ.নি.ডে; ফার্সিতে কোহ-ই-নূর বাংলায় যার অর্থ আলোর পাহাড়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরাও নয়, সবচেয়ে সুন্দরও নয়, তবুও ইতিহাসে বারবার ক্ষমতা আর বিতর্কের অংশ হয়েছে এই হীরাটি। বর্তমান সময়ে কোহিনূর আরও একবার ফিরে এসেছে বিতর্কের কেন্দ্রে। হীরার চারপাশের অস্বস্তি এখন প্রথম পাতার খবরে পরিণত হয়েছে।

 ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি দল রানী ক্যামিলা-র কনসোর্টের রাজ্যাভিষেকের সময় কোহ-ই-নূর পরার যে কোনো পরিকল্পনা "ঔপনিবেশিক অতীতের বেদনাদায়ক স্মৃতি" ফিরিয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেছে। স্পষ্টতই ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইংল্যান্ডের ওপর এটি চাপ সৃষ্টি করবে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কোহিনূর মুঘল, ফার্সি, আফগান এবং শিখদের হাত ফেরি হয়ে ইংরেজদের হাতে গিয়েছে। ১৮৪৯ সালে ব্রিটেন, দশ বছর বয়সী লাহোরের বালক-রাজা মহারাজা দুলীপ সিং-র কাছ থেকে এই কোহিনূর ছিনিয়ে নেয়। তারপর সেটি মারাত্মক রকমের হেরফের করে কাটিং করে ওজনে প্রায় অর্ধেক করা হয়। রানী ভিক্টোরিয়া এটি পরতেন। শেষমেষ ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত রাজা ষষ্ঠ জর্জের সহধর্মিণী তাঁর তাজে এটি পরেছেন।

১৯৪৭ সালে সদ্য স্বাধীন ভারতের সরকার হীরাটি ফেরত চেয়েছিল। ১৯৭৬ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, জুলফিকার আলী ভুট্টো হীরাটি ফেরত চেয়ে ইংল্যান্ডকে গরম করেছিলেন। জ্বালাময়ী চিঠি লিখে তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, এটি লাহোরের ঐতিহ্যের অংশ ছিল।  পাকিস্তানকে কোহিনূরের ফেরত দেওয়া হবে "একটি নতুন আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের প্রতীক যা পুরানো যুগের দখলদার, কুক্ষিগত মেজাজের থেকে আকর্ষণীয়ভাবে ভিন্নতাকে প্রদর্শন করবে"। এই ধরনের আরও অন্যান্য অনুরোধসমূহ ব্রিটেনের পক্ষে সবসময় কঠোরভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। উত্তর দেয়া হয়েছে, কোহিনূরের ইতিহাস এত জটিল যে, ব্রিটেনের পক্ষে জানা সম্ভব নয়, এর প্রকৃত দাবিদার কোন দেশ? তবে বর্তমান এই পরিস্থিতিতে বাকিংহাম প্রাসাদের আধিকারিকরা আগামী ৬ই মে, ২০২৩-এ ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে যখন তিনি এবং তার স্বামী রাজা তৃতীয় চার্লস রাজ্যাভিষেক করবেন তখন রানী ক্যামিলার মূল্যবান হীরা পরা উচিত কিনা তা পর্যালোচনা করছেন।

২৮শে নভেম্বর ২০২২ তৃতীয় বর্ষ ১৮তম সংখ্যা