২০২২ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
২০২২ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২

পশুত্ব পুড়ছে কই?

 কবিতা

পশুত্ব পুড়ছে কই?

 সেখ কামারুল ইসলাম


আমাজন কেন সারা পৃথিবীটাই 

থেকে থেকে জ্বলে উঠছে।

সে আগুনে পশুত্ব পুড়ছে কই, 

অবলা জীবেরাই জ্বলছে।


কোন সংশয় নেই

বন-জঙ্গলে সিংহ একাই মহারাজ

প্রজার রাজত্বে

জন-জঙ্গলে সবাই চায় শিরতাজ।

থাকে ক্ষমতা কার হাতে

ছুটছে সবে আগে-পিছে

যার হাতে ক্ষমতা এসে লুটে

সেই রাজা আর কিছু আজ্ঞাবহ মোসাহেব

বাকি সব পাতি প্রজা, কার-পর-দাজ।


প্রভূত্ব, ক্ষমতা, ভোট

স্বার্থ-গদীর লড়াই;

জন-জঙ্গল সে লড়াইয়ে অহরহ পুড়ছে তাই

ঘর-বাড়ি-দোকান-মসজিদ-মন্দির-কারখানা

খেত-খামার বিষয়-আশয়

সংসার-মন-ধন সব একাকার।

কে থাকবে অধিরাজ

তারই চলছে নিত্য কাওয়াজ।


নিভবে হিংসার আগুন?

শান্তির বরষন হবে কবে

আকাশ বাতাস সমুদ্র ঘুরে

কবি তাই খুঁজে ফেরে



আগুন তবুও যদি

দেখা দেয় জঙ্গলে

পশুর জীবন নয়

পশুত্ব পোড়া চাই, 

সর্ব জন-মঙ্গলে

তাই চায় কবি সকলে।

 আপনার সন্তান  কি সর্বদা ফোন নিয়ে খেলছে?

    সহজে ফোনের নেশা ছাড়ানোর উপায়- 

জানিয়েছেন উম্মে কুলসুম


আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য, রোগ ব্যাধি দূরে রাখার জন্য যেমন ব্যায়াম, খেলাধূলা ভীষণ জরুরী, তেমনি অলসআমাদের শরীর স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে| সারাদিন ফোনের নেশায় বুদ হয়ে বসে থাকলে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে, তাই মা বাবা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সন্তানের screen time  বেঁধে দেওয়া, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আর ফোন দেখতে না দেওয়া।

   বাড়ির খুদেকে কোন কোন উপায় ফোন থেকে দূরে রাখবেন:

   ১. খেলার জায়গা বানিয়ে দিন যেখানে তার কল্পনা শক্তিকে বাস্তবে ফুটিয়ে তুলতে পারবে, নিজের মতো ভাবতে পারবে।

   ২. কোনো ভালো কাজ করলে, হাতের কাজ করলে,ছবি আঁকলে তাকে উৎসাহ দিন, পারলে তাকে পুরস্কার দিতে পারেন, তাতে সে উৎসাহ পাবে।

   ৩. আপনার সন্তানের কাছে আপনি আদর্শ হয়ে উঠুন, শিশুরা কিন্তু বড়দের নকল করে।তারা চোখের সামনে্ যা দেখে সেটাই করতে চায়,তাই আপনি যদি নিজে ফোন ঘাটা কমাতে পারেন, তাহলে সেটা দেখে কিন্তু আপনার সন্তান শিখবে।

সম্পাদকীয়

 সম্পাদকীয়

সার্বজনীন সমস্যায় শুধুমাত্র পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণের বাহুল্য নয়, চাই সঠিক বাস্তবায়ন। এ পৃথিবী ও তার পরিমণ্ডলকে শুদ্ধ রাখতে সমস্ত দেশের জনসাধারণ ও নীতিনির্ধারকদের ভেতর আন্তরিকতার বিশ্বজনীনতা আজ একান্ত প্রয়োজন।


অপরিনত বাচ্চা যত ছোটই হোক না কেন ইনকিউবিটরে নয় বাবা-মায়ের বুকে দিতে হবে- হু

 অপরিনত বাচ্চা যত ছোটই হোক না কেন ইনকিউবিটরে নয় বাবা-মায়ের বুকে দিতে হবে- হু

অপরিনত শিশুর জন্ম


দিনের দিন বিশ্বজুড়ে অপরিনত বাচ্চার জন্ম বেড়েই চলেছে। এইধরনের বাচ্চারা নবজাত অবস্থায় এমনকি শৈশবে সাধারনত বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভোগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার পূর্বেকার সুপারিশকৃত নির্দেশনা থেকে সরে এসে গত ১৫ই নভেম্বর নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।  

 ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্মানো শিশুদের জন্য পূর্ব নির্দেশাবলীতে তাদের প্রাথমিক পরিচর্যাদাতার থেকে একটি সংক্ষিপ্ত বিচ্ছেদের জন্য বলা হয়।  শিশুকে প্রথমে একটি ইনকিউবেটরে প্রায় তিন-চার দিন ধরে স্থির রাখার কথা বলা হয়েছিল। সময়ের আগেই জন্ম বর্তমানে  জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একটি উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে বছরে প্রায় ১০ শতাংশ অপরিনত বাচ্চা জন্ম গ্রহণ করছে।

"একজন পিতামাতার সাথে প্রথম আলিঙ্গন শুধুমাত্র আবেগের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং তবে ছোট এবং সময়ের আগেই জন্ম নেওয়া শিশুদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা এবং স্বাস্থ্যের ফলাফলের উন্নতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ," বলেছেন হূ-র নবজাতক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত মেডিকেল অফিসার ডাঃ কারেন এডমন্ড।

পূনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার নিয়ে ফুঁকো আওয়াজই সার কাজ কিছু হয়নি

 পূনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার নিয়ে ফুঁকো আওয়াজই সার কাজ কিছু হয়নি


উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নীতিনির্ধারকরা দ্রুত নিঃশেষ হতে যাওয়া জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে পূনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে চললেও কার্যত বাস্তবায়ন বিশেষ কিছু হচ্ছে না, জানাচ্ছে সাম্প্রতিক কালের একটি ক্লাইমেটোস্কোপ সার্ভে। পৃথিবীর উন্নয়নশীল দশটার ন'টা দেশই উপর উপর প্রতিশ্রুতি দিলেও  আদপে সেই প্রতিশ্রুতির কোন অনুসরণ করা হয় না। প্রতি বছরই জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় জাতীয় অবদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য পূনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারের লিস্টে উন্নয়নশীল দেশের নাম বাড়ছে। বর্তমানে পৃথিবীর ৯২% দেশই জাতীয় ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত করেছে। প্রতিবেদনে লক্ষনীয়ভাবে দেখানো হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য এবং স্বল্পমেয়াদী বাস্তবায়ন কৌশলগুলির মধ্যে বৈষম্য ইঙ্গিত দেয় যে শুধুমাত্র লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নয়, দেশগুলোর নীতিনির্ধারকদের এখনও অনেক কাজ করার আছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এ ব্যাপারে তাই যথেষ্ট যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

 ইতালির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন কট্টরপন্থী জর্জিয়া

মাফুজা খাতুন, কলকাতা; ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত শনিবার সকালে শপথ নিলেন ৪৫ বছর বয়সী কট্টর ডানপন্থী নেত্রী জর্জিয়া মেলোনি। গত মাসের নির্বাচনে জয়ী হয় তার নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ জোট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ইতালির ইতিহাসে সবচেয়ে কট্টরপন্থী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন জার্জিয়া। ন্যাশনালিস্ট ব্রাদার্স অফ ইতালি-র নেত্রী নিজেকে ন্যাটো ও ইইউ পন্থী হিসেবে দাবি করে থাকেন। জোটের সব দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত নতুন মন্ত্রিসভার একটি তালিকা তিনি প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেন গত শুক্রবার। জোট পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হবে শ্রীঘ্রই।

 চীনা নারীরা স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় উভয় স্তরেই রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে বাদ পড়েছেন



উ.নি.ডে; সাত দশকের অস্থিরতা ও নানা পরিবর্তনের মধ্যেও চীনের নেতৃত্বের যে বিষয়টি আজো অপরিবর্তিত রয়েছে সেটা হল সব পুরুষ নিয়ন্ত্রিত রাজনীতি। কমিউনিস্ট পার্টি ৭০ বছর ধরে চীনকে পরিচালনা করেছে, এবং সেই সময়ের মধ্যে কোন মহিলা কখনও চীনের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হননি, দেশটির পরিচালনাকারী গ্রুপে বা পার্টির নেতৃত্বে মহিলাদের উপস্থিতি নগন্য। কোন মহিলা রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হননি। 

গত ২৩শে অক্টোবর শি-র অধীনে, সিসিপি আরো একধাপ পিছিয়েছে, ক্ষমতার পরবর্তী স্তর থেকেও নারীদের বাদ দিয়েছে। বর্তমানে ২৪-সদস্যের পলিটব্যুরো থেকে নারীর নাম নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।  বেইজিং-এ ২০তম কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের সমাপ্তির পর যেদিন শি আনুষ্ঠানিকভাবে তার শাসনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়িয়েছিলেন সেই দিনই নতুন সমস্ত পুরুষ লাইন আপ প্রকাশিত হয়েছিল।

চীনের পিতৃতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামো নারীদের ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতাকে সীমিত করে দিয়েছে। চিনের নেতৃত্বে, শাসনতন্ত্রে মহিলা না থাকায় অথবা নগন্য থাকায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় চিনে মহিলাদের সমস্যা উপেক্ষিত রয়ে গেছে।

 আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং 



উ.নি.ডে; আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর, এই ৩ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা রয়েছে। সোমবার ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার বেগে, মঙ্গলবার ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৩ জেলার উপকূলে। আমফান ১০-১৫ মিনিটের জন্য ১২০ কিলোমিটার বেগে ছুটেছিল। কিন্তু যেটা এবার আসছে, সেটা ২০০ কিলোমিটার বেগে আসছে বলে অনুমান করা হয়েছে। আজ থেকেই দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রামে, সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। 

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

১৪ই অক্টোবর বিশ্বজুড়ে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের আহ্বান

 ১৪ই অক্টোবর বিশ্বজুড়ে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের আহ্বান

E-waste Material


উ.নি.ডে. ১৪ই অক্টোবর বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক ই-বর্জ্য দিবসের এই বছরের মূল ফোকাস ছিল- "পুনর্ব্যবহার করো পুরোটাই, হোক না তা সে ছোট্ট যতই"! সেইসব ছোট বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলি যা আমরা আর ব্যবহার করি না কিন্তু ড্রয়ারে এবং আলমারিতে রাখি বা প্রায়ই সাধারণ বর্জ্য বিনে ফেলে দিই। জীবন শেষ হওয়া ছোট বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বর্তমান সভ্যতাকে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জে দাঁড় করিয়েছে। জাতিসংঘ অনুমান করছে যে, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী ২৪.৫ মিলিয়ন টন ছোট ই-বর্জ্য তৈরি হয়েছে।  এটি বিশ্বব্যাপী উদ্ভূত মোট ই-বর্জ্য ৫৭ মিলিয়ন টনের ৪০%।  যদি এই ছোট আইটেমগুলির পরিমাণ মোট ই-বর্জ্যের বর্তমান বার্ষিক প্রায় ৩%-র মতো সমান হারে বাড়তে থাকে তবে তা ২০৩০ সালের মধ্যে ২৯ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে। ছোট আকারের কারণে সেল ফোন, বৈদ্যুতিক টুথব্রাশ, টোস্টার এবং ক্যামেরা ইত্যাদির মতো আইটেমগুলি প্রায়শই ভুলভাবে ফেলে দেওয়া হয় এবং এগুলি বর্জ্য পাত্রে ফেলে দেওয়া সমস্ত ই-বর্জ্যের ৮% এর একটি উল্লেখযোগ্য অনুপাত তৈরি করে। যা দিয়ে পরবর্তীতে জমিভরাট করা হয় বা সেগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা। অর্থাৎ তাদের মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল বের করা যায় না এবং সেগুলো হারিয়ে যায়।  ইউরোপে, প্রতি বছর প্রতি বাসিন্দা ১.৪ কেজি পর্যন্ত ই-বর্জ্য সাধারণ বর্জ্য বিনে শেষ হয়। উপরন্তু, ছোট সরঞ্জামগুলি সহজেই ড্রয়ার, আলমারি, গ্যারেজ, বেসমেন্ট এবং তাকের উপর ফেলে রাখা হয় এবং পরে ভুলে যায়।  একটি গড় ইউরোপীয় পরিবারে, বর্তমানে জনপ্রতি ৫ কেজি পর্যন্ত ই-ডিভাইস মজুত করা হয়।


আবার বিতর্কের কেন্দ্রে কোহিনুর


 আবার বিতর্কের কেন্দ্রে কোহিনুর


উ.নি.ডে; ফার্সিতে কোহ-ই-নূর বাংলায় যার অর্থ আলোর পাহাড়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরাও নয়, সবচেয়ে সুন্দরও নয়, তবুও ইতিহাসে বারবার ক্ষমতা আর বিতর্কের অংশ হয়েছে এই হীরাটি। বর্তমান সময়ে কোহিনূর আরও একবার ফিরে এসেছে বিতর্কের কেন্দ্রে। হীরার চারপাশের অস্বস্তি এখন প্রথম পাতার খবরে পরিণত হয়েছে।

 ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি দল রানী ক্যামিলা-র কনসোর্টের রাজ্যাভিষেকের সময় কোহ-ই-নূর পরার যে কোনো পরিকল্পনা "ঔপনিবেশিক অতীতের বেদনাদায়ক স্মৃতি" ফিরিয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেছে। স্পষ্টতই ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইংল্যান্ডের ওপর এটি চাপ সৃষ্টি করবে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কোহিনূর মুঘল, ফার্সি, আফগান এবং শিখদের হাত ফেরি হয়ে ইংরেজদের হাতে গিয়েছে। ১৮৪৯ সালে ব্রিটেন, দশ বছর বয়সী লাহোরের বালক-রাজা মহারাজা দুলীপ সিং-র কাছ থেকে এই কোহিনূর ছিনিয়ে নেয়। তারপর সেটি মারাত্মক রকমের হেরফের করে কাটিং করে ওজনে প্রায় অর্ধেক করা হয়। রানী ভিক্টোরিয়া এটি পরতেন। শেষমেষ ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত রাজা ষষ্ঠ জর্জের সহধর্মিণী তাঁর তাজে এটি পরেছেন।

১৯৪৭ সালে সদ্য স্বাধীন ভারতের সরকার হীরাটি ফেরত চেয়েছিল। ১৯৭৬ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, জুলফিকার আলী ভুট্টো হীরাটি ফেরত চেয়ে ইংল্যান্ডকে গরম করেছিলেন। জ্বালাময়ী চিঠি লিখে তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, এটি লাহোরের ঐতিহ্যের অংশ ছিল।  পাকিস্তানকে কোহিনূরের ফেরত দেওয়া হবে "একটি নতুন আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের প্রতীক যা পুরানো যুগের দখলদার, কুক্ষিগত মেজাজের থেকে আকর্ষণীয়ভাবে ভিন্নতাকে প্রদর্শন করবে"। এই ধরনের আরও অন্যান্য অনুরোধসমূহ ব্রিটেনের পক্ষে সবসময় কঠোরভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। উত্তর দেয়া হয়েছে, কোহিনূরের ইতিহাস এত জটিল যে, ব্রিটেনের পক্ষে জানা সম্ভব নয়, এর প্রকৃত দাবিদার কোন দেশ? তবে বর্তমান এই পরিস্থিতিতে বাকিংহাম প্রাসাদের আধিকারিকরা আগামী ৬ই মে, ২০২৩-এ ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে যখন তিনি এবং তার স্বামী রাজা তৃতীয় চার্লস রাজ্যাভিষেক করবেন তখন রানী ক্যামিলার মূল্যবান হীরা পরা উচিত কিনা তা পর্যালোচনা করছেন।

উগ্র ডানপন্থী সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ৭৫ বছরের নারী জঙ্গী ধৃত জার্মানিতে

 উগ্র ডানপন্থী সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ৭৫ বছরের নারী জঙ্গী ধৃত জার্মানিতে


উ.নি.ডে; অপহরণ ও পাওয়ার স্টেশনে হামলার পরিকল্পনার পেছনে মূল মাস্টারমাইন্ড বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এই  অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে।


জার্মান রাজনীতিবিদ এবং সেদেশের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উপর হামলা ছকের পরিকল্পনাকারী একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মূল হোতা বলে মনে করা এই পেনশনভোগীকে হেফাজতে নিয়ে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে গত শুক্রবার।

সারা জার্মানি জুড়ে ব্ল্যাকআউট তৈরি করার উদ্দেশ্যে এই হামলার ছক বলে জানানো হয়েছে।

গত এপ্রিলে এই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেছে এবং তারা বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহের চেষ্টায় ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। হোলগার শ্মিড্ট, একজন সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ, জার্মান টেলিভিশনকে বলেছেন যে, জার্মান সরকারকে ফেলে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপের অস্তিত্ব অস্বাভাবিক নয় কিন্তু এই গ্রুপটির কাছে অস্ত্রের সন্ধান এবং বিস্ফোরক সংগ্রহের খবর থাকায় এদেরকে তদন্তকারীরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। এদের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাখকে অপহরণ করা এবং প্রয়োজনে তাকে হত্যা করা। তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে আক্রমণ করে দেশব্যাপী শক্তি ব্ল্যাকআউটের একটি সিরিজ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল। এই সংযোগে এপ্রিলে বার্লিনের কাছে ফালকেন্সির এক ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, সোভেন জর্জ বি নামে চিহ্নিত "ইউনাইটেড প্যাট্রিয়টস" বা "ডে এক্স জার্মানি" নামে একটি চরমপন্থী টেলিগ্রাম গ্রুপের প্রধানদের একজন ধরা পড়ে। পুলিশ তার সেলারে একটি এসএস ইউনিফর্ম এবং একটি কালাশনিকভ রাইফেল পেয়েছে। 

বর্তমানে ধরা পড়া এই নারীকে জার্মান আইনী নিয়ম অনুসারে শুধুমাত্র এলিজাবেথ আর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য স্যাক্সনির বাড়ি থেকে ৭৫ বছর বয়সী এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিমেন্ট শিল্প থেকে পরিবেশ সমস্যা কমাতে বিকল্পের সন্ধানে বিশ্বের নামী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আইআইটির

 সিমেন্ট শিল্প থেকে পরিবেশ সমস্যা কমাতে বিকল্পের সন্ধানে বিশ্বের নামী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আইআইটির

উ.নি.ডে; গৃহনির্মাণ এবং পরিচালনা বিশ্বব্যাপী মোট CO2 নিঃসরণের 25% এরও বেশি ক্ষেত্রে দায়ী। আবার নির্মাণ শিল্পের মধ্যে সিমেন্ট উৎপাদনে CO2 নির্গমন হয় ৮%। কারন সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য 1,450 - 1,500 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চুনাপাথর পোড়ানোর প্রয়োজন হয়, যা প্রতি কেজি সিমেন্টের জন্য প্রায় 0.8 কেজি CO2-এর সমতুল্য নিঃসরণ করে । এই বিশেষ ক্ষেত্র থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড এর নিঃসরণ কমাতে টেকসই সিমেন্টের বিকল্পের সন্ধানে বিশ্বের আরও কয়েকটি প্রথিতযশা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে ভারতের কয়েকটি আইআইটি। তাদের গবেষনায় চুনাপাথর ক্যালসাইন্ড ক্লে সিমেন্ট বা LC3 একটি টেকসই বিকল্প হিসেবে পাওয়া গেছে, যা CO2 নির্গমনকে 40% কম করে এবং উৎপাদনের জন্য এটি উল্লেখযোগ্যভাবে সস্তা। ভারতের মতো দেশের ক্রমবর্ধমান শহুরে জনসংখ্যা

সিমেন্টের মতো নির্মাণ সামগ্রীর ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে তাড়িত করবে। ফলে আরও টেকসই এবং কম কার্বন-নিবিড় সমাধান খুঁজে বের করা অপরিহার্য। বর্তমানে সিমেন্ট ব্যবহারের বিকল্প থাকলেও শক্তি ও স্থায়িত্বের জন্য সিমেন্টই প্রথম পছন্দের। কিন্তু সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট, যা ব্যবহৃত সবচেয়ে সাধারণ প্রকারের মধ্যে রয়েছে, 95% ক্লিঙ্কার নিয়ে গঠিত।  ক্লিঙ্কার তৈরির জন্য একটি প্রধান কাঁচামাল হল সাধারণত চুনাপাথর একটি দ্বিতীয় উপাদানের সাথে মিশ্রিত করা হয়।সার্বজনীনভাবে, প্রযুক্তিবিদরা মতামত দিয়েছেন যে কংক্রিট নির্মাণের নেট কার্বন প্রভাব হ্রাস করার একটি প্রাথমিক উপায় হল কংক্রিটে কম সিমেন্ট ক্লিংকার ব্যবহার করা।

এই চ্যালেঞ্জের প্রতি সাড়া দিয়ে, LC3-প্রকল্প নামে একটি বৈশ্বিক গবেষণা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে IIT মাদ্রাজ, IIT দিল্লি, TARA (ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভস) নিউ দিল্লি, UCLV (লাস ভিলাসের সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি "মার্টা আব্রেউ") কিউবার মতো প্রতিষ্ঠান এবং EPFL (  সুইজারল্যান্ডের সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি লুসান) মিলিতভাবে একটি সম্ভাব্য সমাধানের সন্ধান করেছে। এই ক্ষেত্রে, সিমেন্ট ক্লিংকারের পরিমাণ শুধুমাত্র 50% এর মধ্যে সীমাবদ্ধ, যা CO2 নিঃসরণে একটি বড় হ্রাসকে নির্দেশ করবে। IIT-Madras দ্বারা জারি করা একটি সাম্প্রতিক প্রেস রিলিজ অনুসারে, এই প্রতিষ্ঠানগুলির দ্বারা স্থায়িত্ব প্রভাব মূল্যায়ন "সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্টের তুলনায় প্রায় 40% CO2 নিঃসরণ এবং LC3 উৎপাদনের জন্য প্রায় 20% কম শক্তিকে স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করেছে"। ইতিমধ্যে, ভারতে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে যে এই সিমেন্ট দিয়ে উৎপাদিত কংক্রিট চমৎকার শক্তি এবং স্থায়িত্ব বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। LC3 বা চুনাপাথর ক্যালসাইন্ড ক্লে সিমেন্ট বিদ্যমান সিমেন্ট উৎপাদনে কার্বন নিঃসরণ কমানোর একটি লাভজনক এবং প্রযুক্তিগতভাবে কার্যকর বিকল্প প্রদান করলেও নির্মাণ শিল্পে জনপ্রিয়তা পেতে কত সময় লাগে সেটাই দেখার।

মুক্তি পেলেন না সাইবাবা

 মুক্তি পেলেন না সাইবাবা



উ.নি.ডে; দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জিএন সাইবাবা-সহ (GN Saibaba) আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে এনআইএ চার্জশিট দিয়েছিল। ২০১৪ সালে গ্রেফতারের পর ২০১৭ সালে নিম্ন আদালত তাঁদের যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেয়। তাঁদের বিরুদ্ধে জোরালো তথ্য প্রমাণ না থাকায় সম্প্রতি বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ তাঁদের নির্দোষ ঘোষণা করে অবিলম্বে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর সুপ্রিম কোর্টে যায় এনআইএ। সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে জেল থেকে এখনই মুক্তি মিলছে না অধ্যাপক সাইবাবাদের।

সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২

নিম্নচাপে উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা-

 নিম্নচাপে উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা-

উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় কলকাতাসহ আশেপাশের এলাকায় সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে উপকূলবর্তী জেলা ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।


স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী

 আগামী পঁচিশ বছরের মধ্যে ভারতকে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের তকমায় উত্তরিত দেখতে চান দেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ।

২৮শে নভেম্বর ২০২২ তৃতীয় বর্ষ ১৮তম সংখ্যা