সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২

Editorial on 31.10.2022

 সম্পাদকীয়

Editorial on 31.10.2022


যে পৃথিবীতে তৃষ্ণার্ত শিশু ইসমাইলের পায়ের আঘাতে সুপেয় জলের প্রবাহ বহে সেই পৃথিবীতেই কয়েক হাজার বছরে অবস্থা এতটাই সঙ্গীন হয়ে উঠেছে যে, এ যুগের বিজ্ঞানীরা কঠিন জল সংকটের মোকাবেলা করার জন্য জনগন ও বিশ্বনেতাদের ভয়ংকর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। এমনকি আগামী কুড়ি-তিরিশ বছরে আমাদের দেশ ভারতে পানযোগ্য জল শূণ্য হয়ে যেতে পারে সে সর্তকবাণীও দিয়ে রেখেছেন। আগামীদিনের জলসংকটের এই সর্তকবার্তায় না কর্ণপাত করছেন এদেশের নেতারা, না করছেন এদেশের সর্বেসর্বা জনগন। স্বার্থান্বেষী দেশনায়কেরা যেমন নিজেদের আখের-গদী গোছাতে ব্যস্ত তেমনি জনগনও আগামী ভয়াবহ দিন সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন থেকে স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। ভয় হয় আগামী প্রজন্মকে আমরা যেন জল-শূণ্য, অ-বসবাসযোগ্য একটা জরাজীর্ণ গ্রহ না গছিয়ে দিয়ে যাই।

হুগলিতে বৃক্ষ হাসপাতালের উদ্যোগ

 হুগলিতে বৃক্ষ হাসপাতালের উদ্যোগ

Tree Hospital initiative in Hooghly


Tree Hospital initiative in Hooghly reported by Mafuja Khatun


মাফুজা খাতুন, সাঁতরাগাছি; বিখ্যাত উদ্ভিদ বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু দেখিয়েছেন যে গাছপালাও অন্যান্য জীবনের মতো। তাই তাদেরও সেবা শুশ্রূষা দরকার। অনেকেই গাছ ভালবেসে লাগান, কিন্তু কি ভাবে তার যত্ন নিতে হয় তা বেশিরভাগই জানেন না। গাছেরও শিশুদের মতো চিকিৎসা করা দরকার হয়। তাদের পুষ্টি, শরীর স্বাস্থ্য র দিকে খেয়াল রাখতে হয়। যারা বাড়ি, বাসস্থানে গাছ লাগান তারা গাছের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানান সমস্যায় পড়েন। গাছের পাতার রোগ, ছত্রাক রোগ, কাণ্ড বা শাখার বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা যায়।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু রোগের সময়মতো প্রতিকার না করে গাছ তুলে ফেলে দেওয়া হয় অথবা গাছটি মারা যায়। কিন্তু মানবদেহের মতো গাছের রোগগুলি পেশাদার আর্বোরিস্টদের বা গাছের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিরাময় করা যায়। তবে গাছের চিকিৎসা পরিষেবা সহজে পেতে সমস্যা দেখা যায়। সেই সমস্যা মেটাতে একটি অনন্য উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এলো পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বলাগড় বিজয় কৃষ্ণ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা একটি ‘বৃক্ষ হাসপাতাল’ চালু করেছেন। এখানে বেশ কিছু আর্বোরিস্ট থাকবে, পরামর্শমূলক পরিষেবাও দেবে, যাতে গাছ বা গাছের মালিকরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে নিরাময় পরিষেবা সরবরাহ করবেন।

এতে বিশেষ করে নার্সারি মালিকেরা উপকৃত হবেন। এই উদ্যোগ গাছ মালিকদের সচেতনতা সৃষ্টিতে যথেষ্ট সাহায্য করবে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সমূহ এবং সরকারের তরফে সহযোগিতা পেলে এ রকম আরো উদ্যোগ দেখা যেতে পারে।

বাগনানের হাটুড়িয়া দক্ষিণ পাড়ায় নবী দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

 বাগনানের হাটুড়িয়া দক্ষিণ পাড়ায় নবী দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

Cultural programs on the occasion of Milad-un-Nabi at Bagnan Haturia Dakshinpara

Editor-In-Chief Sk Kamarul Islam Attended Cultural Program at Haturia Dakshinpara, Howrah


সেখ মইদুল আলি, বাগনান; গতকাল রবিবার বাগনানের হাটুড়িয়ায় দক্ষিণ পাড়া উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বনবী দিবস উপলক্ষ্যে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অন্নদান কর্মসূচি। স্থানীয় মসজিদের নতুন ভবনের উদ্বোধনও হলো এদিন। শনিবার হাটুড়িয়া ১নং পঞ্চায়েতের তরফে ডেঙ্গুসহ ভেক্টর বর্ণ ডিজিজ প্রতিরোধে এলাকায় পরিবেশ পরিছন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ পাড়া উন্নয়ন কমিটির প্রেসিডেন্ট সেখ মোয়ীনূল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আশিক বেগ, সাহিত্যিক সেখ কামারুল ইসলাম, মসজিদের ইমাম রেজাউল খান, বিশিষ্ট মোটিভেশনাল স্পীকার মাওলানা আবু জাফর, বিশিষ্ট কবি সেখ মইদুল আলি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উস্ওয়া-র জেনারেল সেক্রেটারি বিশিষ্ট সমাজসেবী মুসারফ গাজী প্রমূখ। সকাল দশটায় অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রেসিডেন্ট সেখ মোয়ীনূল ইসলাম। সারাদিনের নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ(সঃ) জীবন-আদর্শ আলোচনা ও প্রার্থনার মাধ্যমে রাতে এদিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়।

শেষ বিদায় কবি নাসিম এ আলম

 শেষ বিদায় কবি নাসিম এ আলম

Last Farewell Poet Nasim A Alam

Poet Nasim A Alam


সেখ মইদুল আলি, বাগনান; গত সোমবার রাত সাড়ে নয়টার সময় চিরতরে বিদায় নিলেন বাংলার সাহিত্য জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র কবি ও প্রাবন্ধিক নাসিম এ আলম। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দুই বাংলার সাহিত্য জগত। দুই বাংলার নানান অগ্রনী পত্র পত্রিকায় তাঁর লেখা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রকাশ পেয়ে এসেছে।

নব্বইয়ের সবচেয়ে অগ্রগণ্য কবিদের অন্যতম ছিলেন নাসিম এ আলম। আইরিশ কলোনীতে সন্ধ্যা, দ্রোহকাল, ময়ূর ক্লান্ত মানে বর্ষা শেষ হল, লিটল ম্যাগাজিন ও অন্যান্য কবিতা, ধুলোর নির্জনে লেখা ইত্যাদিসহ তার শেষ কাব্যগ্রন্থ বাসমতী ধানের অগ্রহায়ণ ও ঝুমকোলতা। তার প্রবন্ধ সংকলন ছিল ‘স্বাধীনতা পরবর্তী পশ্চিমবাংলার মুসলমান সমাজ ও সাহিত্য’৷ তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দুই বাংলার প্রখ্যাত সাহিত্যিকেরা। কবি ও সম্পাদক সেখ কামারুল ইসলাম বলেন, "গত পয়লা অক্টোবর কবির সাহিত্য সাথী এ যুগের আরেক অগ্রণী কবি তৈমুর খান সূত্রে জানতে পারি মৃত্যু শয্যায় 'কবি নাসিম এ আলমের চোখে দিনান্তের শেষ সূর্য'। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছিল তখনই। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো, নবীন কবিরা অনেকেই তাদের একজন অভিভাবক হারালো" । ক্যান্সারে ভুগছিলেন বেশ কিছুদিন। শেষ পর্যন্ত ২৪শে অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বীরভূমের কীর্নাহারের নিমড়া গ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়।

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক দূষিত শহর কলকাতা

 বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক দূষিত শহর কলকাতা

উ.নি.ডে; স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, কলকাতা বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর। বিশ্ব নগর দূষন মানচিত্রে দেশের রাজধানী দিল্লির পরেই এর স্থান। বাতাসে PM2.5 এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে,  এই নেতিবাচক-মানের তালিকার শীর্ষে স্থান পাওয়া ভারতের এই দুই শহরের স্থান পাওয়ার প্রধান কারণ হল এই দুটি শহরের জনসংখ্যার অত্যধিক ভিড়। পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং কর্মীরা অভিমত পোষণ করেন যে, জনসংখ্যা ছাড়াও কলকাতায় এই উচ্চ বায়ু দূষণের হারে অবদান রাখার জন্য অন্যান্য কারণ রয়েছে, যার মধ্যে সর্বাগ্রে হল অটোমোবাইল জ্বালানী নির্গমন, যা এর মোট দূষণে ৬০ শতাংশ অবদান রাখে। এছাড়াও অন্যান্য মনুষ্যসৃষ্ট কারণ রয়েছে যেমন  রাস্তার ধারে অসংখ্য খাবার বিক্রেতারা কয়লার বা কেরোসিন চুলায় খোলা অবস্থায় খাবার রান্না করে যাতে দূষণমাত্রা আরো বাড়ে, আবার শহরের যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী উঁচুতে স্তূপ করা হয় যার ফলে দূষিত জিনিস বাতাসে মিশে যায়। খোলা জায়গায় নির্বিচারে আবর্জনা পোড়ানোও আরেকটি বড় কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। 

কলকাতা শহরে বায়ূমণ্ডলের গূণমাণ বৃদ্ধির জন্য ইনডাকশন কুকার, ই-বাস,আবর্জনা পৃথকীকরণ ব্যবস্থার প্রবর্তন ইত্যাদির আশু প্রয়োজন এবং কলকাতা নগর নিগমকে এ ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে।

 ইতালির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন কট্টরপন্থী জর্জিয়া

মাফুজা খাতুন, কলকাতা; ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত শনিবার সকালে শপথ নিলেন ৪৫ বছর বয়সী কট্টর ডানপন্থী নেত্রী জর্জিয়া মেলোনি। গত মাসের নির্বাচনে জয়ী হয় তার নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ জোট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ইতালির ইতিহাসে সবচেয়ে কট্টরপন্থী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন জার্জিয়া। ন্যাশনালিস্ট ব্রাদার্স অফ ইতালি-র নেত্রী নিজেকে ন্যাটো ও ইইউ পন্থী হিসেবে দাবি করে থাকেন। জোটের সব দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত নতুন মন্ত্রিসভার একটি তালিকা তিনি প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেন গত শুক্রবার। জোট পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হবে শ্রীঘ্রই।

 চীনা নারীরা স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় উভয় স্তরেই রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে বাদ পড়েছেন



উ.নি.ডে; সাত দশকের অস্থিরতা ও নানা পরিবর্তনের মধ্যেও চীনের নেতৃত্বের যে বিষয়টি আজো অপরিবর্তিত রয়েছে সেটা হল সব পুরুষ নিয়ন্ত্রিত রাজনীতি। কমিউনিস্ট পার্টি ৭০ বছর ধরে চীনকে পরিচালনা করেছে, এবং সেই সময়ের মধ্যে কোন মহিলা কখনও চীনের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হননি, দেশটির পরিচালনাকারী গ্রুপে বা পার্টির নেতৃত্বে মহিলাদের উপস্থিতি নগন্য। কোন মহিলা রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হননি। 

গত ২৩শে অক্টোবর শি-র অধীনে, সিসিপি আরো একধাপ পিছিয়েছে, ক্ষমতার পরবর্তী স্তর থেকেও নারীদের বাদ দিয়েছে। বর্তমানে ২৪-সদস্যের পলিটব্যুরো থেকে নারীর নাম নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।  বেইজিং-এ ২০তম কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের সমাপ্তির পর যেদিন শি আনুষ্ঠানিকভাবে তার শাসনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়িয়েছিলেন সেই দিনই নতুন সমস্ত পুরুষ লাইন আপ প্রকাশিত হয়েছিল।

চীনের পিতৃতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামো নারীদের ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতাকে সীমিত করে দিয়েছে। চিনের নেতৃত্বে, শাসনতন্ত্রে মহিলা না থাকায় অথবা নগন্য থাকায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় চিনে মহিলাদের সমস্যা উপেক্ষিত রয়ে গেছে।

২৮শে নভেম্বর ২০২২ তৃতীয় বর্ষ ১৮তম সংখ্যা